empty
 
 
26.12.2025 09:06 AM
২৬ ডিসেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনেকটা EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের মতোই ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা কোনো ফলপ্রসূ ফল দেয়নি এবং এরপরে একটি নিম্নমুখী কারেকশন শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখন পর্যন্ত অটুট রয়েছে। বলা যেতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেকারভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় ভালো এলেও তা ডলারকে খুব সামান্যই সহায়তা প্রদান করেছে; যদিও এই প্রতিবেদনটিকে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যেকোনো অবস্থায়ই, বুধবার দিনভর এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে, শুক্রবারেও একই পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে এবং আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা চলতে পারে। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী ও প্রায় সব টাইমফ্রেমে প্রদর্শিত চিত্র অনুসারে ২০২৬ সালের শুরুতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য়ের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সর্বশেষ দুই দিনে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশ থেকে কোনো উল্লেখযোগ্য মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার দুইটি ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়েছিল, যার মাধ্যমে নতুন ট্রেডাররা লাভ করতে পারতো। 1.3529 লেভেল থেকে এই পেয়ারের মূল্যের দুই দফা বাউন্স ঘটে — যা 1.3529–1.3543 এরিয়ার অংশ। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য গড়ে ২০ পিপস হ্রাস পেয়েছিল। আজও এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে তা উল্লেখযোগ্য হবে বলে মনে হচ্ছে না।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক মুভমেন্ট সম্পন্ন হয়ে আবারও ঊর্ধ্বগামী প্রবণতা শুরু হয়েছে। আমরা পূর্বে যেমনটি উল্লেখ করেছি, আমরা পুরোপুরিভাবে এই ধরনের পরিস্থিতির প্রত্যাশা করছিলাম। মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো উল্লেখযোগ্য কারণ নেই — ফলে আমরা ধারণা করছি যে সম্ভবত এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাই বিরাজ করবে। সামগ্রিকভাবে, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি, যার ফলে আগামী কয়েক মাসে এই পেয়ারের মূল্য 1.4000 লেভেলে পৌঁছাতে পারে।

শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য 1.3529–1.3543 এরিয়া ব্রেক করলে নতুন ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করার কথা বিবেচনা করতে পারেন — যেখানে মূল্যের 1.3574–1.3590-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই পেয়ারের মূল্য আবারও 1.3529–1.3543 এরিয়া থেকে বাউন্স করে তাহলে সেক্ষেত্রে শর্ট পজিশন বিবেচনায় আনা যেতে পারে, যেখানে মূল্যের 1.3437–1.3446 এরিয়ার দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3437-1.3446, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। শুক্রবার যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র — কোনো দেশেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, এবং সোমবার ও মঙ্গলবার তুলনামূলকভাবে সক্রিয় ট্রেডিং কার্যক্রমের পর, এখন মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা অনেকটাই কমে এসেছে। ফলে বর্তমানে কিছুটা "থিন মার্কেট" পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেখানে মার্কেট মেকারদের পক্ষে এই পেয়ারের মূল্যের পরিবর্তন আনা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সহজ হবে — তবে এর মানে এই নয় যে তাঁরা এটি করবেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.