সোনার দামে ভোজ্যতেল

তালিকার শুরুতেই আছে ভোজ্যতেল। বসন্ত ঋতুর প্রথম মাসে, এটির দাম ৮% বেড়েছে, যা গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বায়োডিজেল উৎপাদকদের সম্ভাব্য চাহিদা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন । একই সাথে, রপ্তানিকারক দেশগুলোতে মজুদ হ্রাসের কারণে পাম তেলের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় সূর্যমুখী ও রেপসিড তেলের দামও বেড়েছে।

দুগ্ধজাত পণ্যের স্বল্পতা

সবচেয়ে ব্যয়বহুল পণ্যগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দুগ্ধজাত পণ্য। গত মাসে এ ধরনের খাবারের দাম প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গুঁড়ো দুধের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। জাতিসংঘের অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন যে চীন এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলোতে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দামের এইরূপ লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। একই সাথে, ইউরোপে মাখন সরবরাহ কমে গিয়েছে। এর ফলে চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে।

মাংসের ব্যাপক চাহিদা

তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে মাংসজাত পণ্য। ক্যাথলিকদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টারের আগে মাংসজাত পণ্যের চাহিদা ব্যাপক আকারে বেড়েছে। বসন্তের প্রথম মাসে, মাংসের দাম ২% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। মজার বিষয় হল, মূল্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য করা উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা হয়েছিল শুকরের মাংস এবং মুরগির মাংসের দামে, যেখানে গরুর মাংস প্রায় একই দামে বিক্রি হয়েছিল। তবে নিউজিল্যান্ড থেকে তুলনামূলক বেশি সরবরাহ হওয়ায় ছাগলের মাংসের দাম কমেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে অত্যন্ত গরম আবহাওয়ার কারণে নিউজিল্যান্ডের কৃষকদেরকে তাদের গবাদি পশু বিক্রি করে দিতে হয়।

যে পণ্যের মূল্য পড়ে গিয়েছে

মার্চ মাসে, শস্যজাত পণ্যের দাম ১.৮% কমেছে, যার সাথে প্রাক-সংকটের স্তরের পার্থক্য অনেক বেশি। পার্থক্যটি হচ্ছে ২৬.৫%। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, গত মাসে গমের দামে সবচেয়ে বেশি মূল্যপতন রেকর্ড করা হয়েছে। ফসল উৎপাদনের ইতিবাচক পূর্বাভাসের পর এই মূল্যপতন হয়েছে। এভাবে চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী গমের উৎপাদন ৭৮৫ মিলিয়ন টনের নতুন রেকর্ডে পৌঁছাতে পারে। প্রত্যাশিত ফলাফল ২০২০-এর থেকে প্রায় ১.৫% বেশি। তাছাড়া, মার্চ মাসে, বার্লি, চাল এবং ভুট্টা সহ অন্যান্য শস্যও মূল্যপতন হয়েছে। একই সাথে, ঐতিহ্যবাহী চিনি উৎপাদনকারী ভারত থেকে রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে চিনির দাম ৪% কমেছে।